বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম — বিকাশে যেমন টাকা লেনদেন করার সুবিধা ঠিক তেমনিভাবে বিকাশের আছে অসুবিধাও। বিকাশ অ্যাকাউন্ট যে পরিমাণে খোলা হচ্ছে, একমাত্র বিকাশের ক্যাশ আউটের অতিরিক্ত চার্জ কেটে নেওয়ার কারণে, অনেকেই আছেন যারা তাদের বিকাশ একাউন্ট টি বন্ধ করে দিতে চাচ্ছেন। তাই গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চায়, তাছাড়া বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্যে অনান্য আরো বেশ কারণ তো আছেই।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম

বিকাশের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা আরও অনেকগুলো আছে যেমন- নগদ মোবাইল ব্যাংকিং, উপায় মোবাইল ব্যাংকিং, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং, শিউরক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি রয়েছে। 

তবে এই সকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং। আমাদের দেশে বিকাশ এতবেশি জনপ্রিয় যার কারনে, প্রায় সকলেই জানেন যে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্যে একটি ন্যাশনাল আইডি কার্ড (এনআইডি কার্ড) এর প্রয়োজন হয়। 

মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে আমরা দূর-দূরান্তে টাকা পাঠানো এবং টাকা উত্তোলন করার জন্য বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে থাকি। নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্যে পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট ওপেন করে থাকে। যা পরবর্তীতে সময়ে পরিবারের যেকেউ ব্যবহার করতে পারে। 

অন্যের বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করাটা যদিওবা ঠিক হবে না তবে, অনেকেই আছেন যারা এনআইডি কার্ড হাতে না পাওয়ার কারণে অন্যের এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট ওপেন করে বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন সম্পূর্ণ করে থাকে। 

অনেকে আছেন যারা আবার তাদের পুরাতন বিকাশ একাউন্ট টিকে বন্ধ করে দিয়ে নতুন বিকাশ একাউন্ট ওপেন করতে চায়। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন, 

১। কিভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা যায়। 
২। কিভাবে বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করতে হয়। 
৩। একটি এনআইডি দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। 
৪। কিভাবে বিকাশ একাউন্টের নাম্বার পরিবর্তন করবেন। 
৫। বিকাশ একাউন্টের টাকা কিভাবে হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচাবেন। 

প্রথমে জেনে নেই, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে। প্রথমত, কিভাবে পুরাতন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা যায়। অনেকেই আছেন যারা টাকা লেনদেন করার জন্য বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করছে, কিন্তু এখন আর বিকাশ একাউন্টে লেনদেন করতে চায়না। যার কারনে মূলত বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চায়। 

তাদের মধ্যে অনেকেই এই সমস্যা সমাধানের জন্য গুগলে সার্চ করে থাকে, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম বা কিভাবে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা যায় সেই সম্পর্কে জানতে চায়। আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করে বেশ খুশি বা সন্তোষজনক। আবার অনেকেই আছেন যারা বিকাশের প্রতি ট্রাঞ্জেকশনে প্রতি ১ হাজারে ২০ টাকা করে চার্জ রাখা বা দেয়া এই বিষয়টি অনেকেই পছন্দ করে না। 

এছাড়াও সিম কার্ড হারিয়ে যাওয়া, হারিয়ে যাওয়া সিম কার্ড একটিভ না করার কারণে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চান। পুরাতন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে নতুন একটি বিকাশ একাউন্ট ওপেন করতে চান। বিকাশ একাউন্টের পরিবর্তে আরও অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করার জন্যে বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা ইত্যাদি সমস্যার কারণে অনেকেই আছেন যারা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চায়। 

আরও পড়ুনঃ Bkash Live Chat | বিকাশ লাইভ চ্যাট হেল্পলাইন সাপোর্ট

তাই আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে পুরাতন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা যায় বা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো অথবা বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার নিয়ম সম্পর্কে জানবো। চলুন জেনে নেই বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার নিয়ম। 

যদি আপনি চান আপনার ব্যবহার করা পুরাতন বিকাশ একাউন্টটি ডিলিট করে নতুন একটি বিকাশ একাউন্ট ওপেন করবেন সেটা কি সম্ভব। তবে যদি আপনি ভেবে থাকেন যে, বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার জন্য বা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য সিম্প্লি বিকাশ অ্যাপস অথবা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের সাথে ফোনে কথা বলে আপনার পুরাতন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করে দিবেন। সেটা হবে আপনার সম্পূর্ণ ভুল ধারণা কেননা বিকাশ একাউন্ট খোলার মতো বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য সামান্য একটু বেশি কষ্ট হয়ে থাকে।

পুরাতন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার আশেপাশের নিকটবর্তী বিকাশ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হবে। তাছাড়া যিনি বিকাশ একাউন্টের অরজিনাল মালিক অর্থাৎ ধরুন, আপনার এনআইডি কার্ড (ন্যাশনাল আইডি কার্ড) ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়নি বা আপনার কোনো এনআইডি কার্ড নেই। আপনার ফ্যামিলির যেকোনো সদস্য যেমন- মা-বাবা, ভাই, বোন তাদের মধ্যে একজনের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ একাউন্ট ওপেন করা হয়েছে। 

এই ক্ষেত্রে বিকাশ একাউন্ট এর প্রকৃতপক্ষে মালিক আপনি নন। প্রকৃতপক্ষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের মালিক হচ্ছে আপনার পরিবারের যার ভোটার আইডি দিয়ে বিকাশ একাউন্টটি খোলা হয়েছে সেই হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে সেই বিকাশ একাউন্টের অরজিনাল মালিক।

তোহ বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে প্রকৃতপক্ষে যিনি বিকাশ একাউন্টের মালিক তাকে সাথে করে নিকটবর্তী বিকাশ অফিসে যেতে হবে এবং সেখানে আপনার পুরাতন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করতে চান তা বিকাশ অফিসের কাস্টোমার সার্ভিস অর্থাৎ বিকাশ কাস্টোমার কেয়ার অফিসারকে বলতে হবে। 

তবে তিনি আপনাকে আপনার পুরাতন বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করবে বা আপনার সমস্যাটি সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে। পূর্বের বিকাশ একাউন্টটি বন্ধ করার জন্য অথবা বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার জন্য বিকাশ অফিসে যাওয়ার আগে আপনাকে নিম্নোক্ত ২টি কাজ করার প্রয়োজন হবেই।

প্রথমত, যিনি বিকাশ একাউন্টের অরজিনাল মালিক সরাসরি তাকে এবং ভোটার আইডি কার্ড সহকারে নিকটবর্তী বিকাশ অফিসে নিয়ে যেতে হবে। বিকাশ অফিসে যাওয়ার আগে, বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার পূর্বে অবশ্যই আপনার বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স জিরো টকা (০) টাকা রাখতে হবে।

আরও পড়ুনঃ বিকাশ একাউন্ট এর সুবিধা

কিভাবে বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করবেন

বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার জন্যে আপনি সরাসরি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে অথবা বিকাশ হেল্পলাইন থেকে অর্থাৎ বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কথা বলে সরাসরি বিকাশ একাউন্টের মালিকানা চেঞ্জ করতে পারবেন না। 

বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য যার ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হবে অর্থাৎ বিকাশ একাউন্ট খোলার সময়ে যেসকল ডকুমেন্ট দিয়ে বিকাশ একাউন্ট ওপেন করা হয়েছে সরাসরি সেই ডকুমেন্টগুলোকে সঙ্গে করে নিয়ে বিকাশ অফিসে যেতে হবে এবং সঙ্গে কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে, যেগুলো বিকাশ কাস্টোমার অফিসারদেরকে দিলে সেগুলো চেক করে বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করে দিবে।

একটি এনআইডি দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?

একটা এনআইডি কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়। বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য নরমালি আপনি বিকাশ পয়েন্ট এবং বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন। 

বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করলে চাইলে যা যা প্রয়োজন হবে

Next Post Previous Post