হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় | হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় | হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারন

শরীর এর মধ্যে গ্যাস্ট্রিক, পেট ব্যাথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, পেটের মধ্যে বুডবুড শব্দ করা, ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি নানান রকম সমস্যা দেখা যায়। এই সকল সমস্যা সাধারণত পেটের হজম শক্তি কমে যাওয়ার ফলে হয়ে থাকে। হজম শক্তির সমস্যা প্রায় সকলেই ভুগে থাকেন। অনেক সময় বেশি পরিমান খাবার ফলে হজম শক্তির সমস্যা হয় আবার অনেক সময় বেশি পরিমান মশলা জাতীয় খাবার ফলে পেটে হজম শক্তির সমস্যা সৃষ্টি হয়। 

হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়

পেজ সূচিপত্রঃ

বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন, নানান রকম দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ, বেশি পরিমান ধূমপান করা, শরীর পুষ্টির অভাব, রাত জাগা বা পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম না পারা, শরীরে পানি স্বল্পতা ইত্যাদি কারনে হজম শক্তির সমস্যা হয়। আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে তুলে ধরবো কিভাবে আপনি হজম শক্তি বৃদ্ধি করবেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে। হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তা জানতে এই পোস্টটি আপনাকে সম্পূর্ণ পড়তে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই হজম শক্তি বাড়ানোর উপায় সমুহ। 

হজম শক্তি কম বা বদহজম কম বেশি সকল মানুষের মাঝে বিদ্যামান। হজম শক্তি বা বদহজম আমাদের শরীর এর মধ্যে মাঝে মাঝে দেখা গেলে তাতে আমাদের তেমন সমস্যা হয় না। আবার যদি হঠাৎ হজমশক্তি কমে যায় বা বদ হজম এর পরিমান বেড়ে যায় তাহলে আমাদের শরীর এর অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। এই বদ হজম বা হজম শক্তি কম এর সমস্যা ইদানিং প্রায় সকলের হচ্ছে নিয়মিত বা অনিয়মিত। 

আরও পড়ুনঃ রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২১ | রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২১

হজম শক্তি কেন গুরুপ্তপূর্ণ | হজম শক্তি বৃদ্ধি

প্রত্যেক ব্যক্তির শরীর এর জন্য হজম শক্তি খুবই গুরুপ্তপূর্ণ একটি বিষয়। একজন মানুষের সুস্থতা এবং সু- স্বাস্থ্যের জন্য হজম শক্তি অনেক গুরুপ্তপূর্ণ বিষয়। আপনার শরীরে যদি হজম শক্তির অভাব হয় বা বদ হজম এর পরিমান বেড়ে যায় অথবা এই হজম শক্তির কার্যকলাপ কোন ভাবে বাধাগ্রস্থ হলে আপনার দেহের কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হতে পারে। 

কেননা শরীর হজম শক্তি বা দেহের শোষণ ক্ষমতা পুরোপুরি ভাবে না হলে তা সম্পূর্ণ দেহকে প্রভাবিত করে। কারন দেহের শোষণ ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে না হলে তা নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করে। যার ফলে একটি খাবার এর সঙ্গে অন্য একটি খাবার মিলে দেহের শোষণ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এই পরিপেক্ষিতে এটি যদি কোন সময় বাধাগ্রস্ত হয়ে যায় তাহলে শরীর এর ওজন বৃদ্ধি পেয়ে যায়, রক্তের মধ্যে গ্লুকোজ এর পরিমান বেড়ে যায়, ইউরিক এসিড এর পরিমান বেড়ে যায় ইত্যাদি সহ আরও নানান রকম সমস্যা শরীরে সৃষ্টি হতে পারে। আর এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য শরীর এর বদ হজম সমস্যা বা হজম শক্তি খুবই গুরুপ্তপূর্ণ। 

আরও পড়ুনঃ মেদ কমানোর সহজ উপায় জেনে নিন

হজম শক্তি বাড়ানোর উপায় | হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম | হজম শক্তি বাড়ানোর খাবার

আমরা সাধারণত খাবার গ্রহণ করি আমাদের শরীর সুস্থ-সবল এবং সুন্দর থাকবে বলে। এছাড়া আমরা যে খাবার গুলো গ্রহণ করি তা মুলত আমাদের শরীর এর শক্তি সঞ্চয় এর জন্য। কিন্ত এই খাবার গুলা যদি আমাদের শরীর এর মধ্যে হজম না হয় তাহলে আমাদের শরীরে পুষ্টির পরিবর্তে হবে নানা রোগ সৃষ্টি। খাবার গ্রহণ করার পর তা হজম করার জন্য আমাদের পাকস্থলীতে থাকা দরকার প্রয়োজনীয় হজম শক্তি। সুস্থ, সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে খাবার ও পদ্ধতি গ্রহণ করলে হজম শক্তি বাড়বে এবং বদ হজম সমস্যা সমাধান হবে তা নিম্নে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন।

আরও পড়ুনঃ রাগ কমানোর সহজ উপায়

খাবার পর্যবেক্ষণ | হজম শক্তি কমে যাওয়ার কারন

হজম সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাকে আগে সমস্যা গুলাে চিহ্নিত করতে হবে বা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আপনার যে খাবার খেলে হজম শক্তির সমস্যা হয় বা বদ হজম সৃষ্টি হয় সেই খাবার এর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। অনেক এই আছেন যে যারা বুঝতে পারে না যে তাদের আসলে কোন খাবার খাওয়ার হজম শক্তি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এই কারনে অনেক এই তেল জাতীয় খাবার, টক জাতীয় খাবার, দুধ ইত্যাদি খাবার সমূহ বাদ দিয়ে থাকে। 

দেখা যায় অনেক এর শরীরে দুধ পান করার পর তার হজম শক্তির সমস্যা হয়। এই জন্য কেউ কেউ আবার দুধ খাওয়া বাদ দিয়ে দেই। কিন্তু এই দুধ খাওয়া একেবারে ছেড়ে না দিয়ে আস্তে আস্তে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এইভাবে দুধ ধিরে ধিরে পান করলে শরীর এর মধ্যে দুধ খাওয়ার সক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে হবে। কেননা দুধ অনেকটা হজম শক্তিতে অনেক দরকারি। শরীর এর হজম শক্তির জন্য কোন খাবার দরকার এবং কোন খাবারটি হজম শক্তি বাধাগ্রস্থ করে সেই খাবার গুলোর বিষয়ে সঠিক ধারনা রাখতে হবে। 

আরও পড়ুনঃ মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন মানুষের জন্য কতটা ক্ষতি 

অনেক সময় দেখা যায় শরীর এর মধ্যে কিছু ভিটামিন এর অভাবে হজম শক্তি বা বদ হজম এর কারন হয়ে থাকে। সেই জন্য আপনি ডাক্তার এর থেকে সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করলে বা আপনার এই হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তা শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব। সকল ব্যক্তিবর্গের শরীর স্বাস্থ্য বা শরীর গঠন এক রকম হয় না। ঠিক তেমনি হজম শক্তি বা বদ হজম সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া সকল এর জন্য এক রকম হয় না। লোক ভেদে আলাদা আলাদা প্রক্রিয়া হয়ে থাকে। আর এই জন্য আপনাকে দেখে নিতে হবে আপনার ঠিক কোন খাবার গুলোতে সমস্যা রয়েছে। 

সুষম খাবার গ্রহণ করা | দ্রুত খাবার হজমের উপায়

মানুষের মৌলিক ৫টি চাহিদার মধ্যে খাবার হচ্ছে প্রথম। আমরা আমাদের শরীর এর স্বাস্থ্য-শক্তি সুন্দর সবল এবং বেঁচে থাকার জন্য খাবার গ্রহণ করি। ৫টি মৌলিক খাবার এর মধ্যে খাবার প্রথম হলেই তা ইচ্ছা মতো খাইতে হবে তা কিন্ত না। আমাদের কে খাবার গ্রহণ করতে হবে নিয়ম মাফিক যা আমাদের শরীর এর জন্য প্রয়োজন। শরীর এর সুস্বাস্থ্য ও হজম শক্তি বা বদ হজম সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের শরীরে খাবার গ্রহণ করতে হবে সুষম খাবার। 

আমাদের শরীর এর বদ হজম বা হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের খাবার গ্রহণ করা উচিত সুষম এবং ভেজালমুক্ত। সুষম খাবার কাকে বলে? যে খাবারে খাদ্যর ছয়টি ৬ টি উপাদান বিদ্যমান থাকে তাকে সুষম খাবার বলে। সুষম খাবার দেহের মধ্যে জৈবিক প্রক্রিয়া সচল রাখতে সহায়তা করে থাকে আর পাকস্থলীতে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। 

আরও পড়ুনঃ টিভি এবং কম্পিউটার মনিটর এর মাঝে পার্থক্য জেনে নিন ২০২১ 

আদা গ্রহণ করা | হজমের সমস্যা সমাধান
হজম শক্তি সমস্যার জন্য খাবার তালিকায় আদা রাখুন। আদা খাবারটি অনেক প্রয়োজনীয় একটি খাবার। যদি বমি বমি ভাব হয় তাহলে আপনি আদা খেতে পারেন কেননা আদা বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করে। আদার মধ্যে রয়েছে আন্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহরোধী সকল উপাদান যা হজম শক্তির কাজে গুরুপ্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বদ হজম বা হজম শক্তির জন্য আদা প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার করে আসছে। 

আদা দেহের মধ্যে গ্রহণ করার ফলে দেহের ভিতরে থাকা বিষাক্ত পদার্থ ও টক্সিন দূর করে। আদা গ্রহণ করার ফলে দেহের পরিপাকযন্ত্র ভালো রাখে। হজম শক্তি সমাধানের জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টি আদা চা খেতে পারেন। ১.৫ কাপ পানিতে ১ চা চামচ আদা কুচি কুচি করে কেটে দিন। আর একটি চুলার উপর ১০ মিনিট থেকে ১৫ মিনিট ফুটাতে হবে। এরপর আপনার কুচি কুচি করে কেটে নেয়া আদা বাহির করুন। এরপর সামান্য মধু দিয়ে আদা গুলি খেয়ে নিন। হজম সমস্যা সমাধানের জন্য এই পদ্ধতি অতিব গুরুপ্তপূর্ণ। 
হজম শক্তি ভালো রাখার জন্য খাওয়ার পর এক টুকরো করে আদা চিবুতে পারেন এটি আপনার হজম শক্তিতে সাহায্য করবে।

হজম শক্তিতে এলাচ খাবার গ্রহণ করুন
রান্নাতে সুগন্ধি হওয়ার জন্য এলাচ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু হজম শক্তি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে এলাচ ব্যবহার করা হয়। এলাচের মধ্যে রয়েছে ভোলাটাইল তেল। এই ভোলাটাইল তেল বদ হজম ও গ্যাস্ট্রিক থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আপনার যদি মুখের মধ্যে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে এছাড়া পেটের আলসার এড়িয়ে চলতে চান তাহলে আপনি এলাচ খাবার গ্রহণ করুন। 

এলাচ পেটের সমস্যা সমাধান করে। প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পরে ৩-৪ টি করে এলাচ গ্রহণ করুন। এই পদ্ধতি ছাড়া আপনি এলাচ লিকার চায়ের সঙ্গে এলাচ গ্রহণ করুন।

পর্যাপ্ত ঘুম | হজমের সমস্যা হলে কি হয়
রাতে ঘুমানোর সময় হজমশক্তির কার্যকলাপ চলতে থাকে। অতিরিক্ত পরিমান রাত জেগে থাকার ফলে তা হজম শক্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির প্রভাব ফেলে। পুষ্টিবিদরা বলেন; রাতের বেলা পরিবেশ এর মধ্যে অক্সিজেন কম থাকে। আর সেই সঙ্গে রাতের বেলা ফুসফুস এর বেশিরভাগ অংশ অব্যবহারিত থাকে। এই কারনে রাতে পুরোপুরি শ্বাস গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। আর এই কারনে আপনি যদি রাতে জেগে থাকেন তাহলে আপনার শরীর এর সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বা মানুষের ইন্দ্রিয় কাজ করে যার ফলে শরীরের অক্সিজেন এর ঘাটতি হয়ে থাকে। যা পরবর্তীতে হজম শক্তিতে বাধাগ্রস্থ করে। আপনি যদি হজম শক্তিকে বাড়াতে অতিরিক্ত পরিমান রাত জাগা থেকে বিরত থাকুন। 
এছাড়া ইসলামে বলা হয়েছে অতিরিক্ত পরিমান রাত জাগা শরীর এর জন্য ক্ষতিকর। তাই সকাল সকাল রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন। 
পান গ্রহণ | হজম শক্তি বৃদ্ধির সিরাপ
হজম শক্তি বা বদ হজম সমস্যা সমাধানের জন্য পান খুব কার্যকরী। বেশিরভাগ মানুষ নেশার জন্য পান খেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক এই জানেন না যে পান হজম শক্তিতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। পান গ্রহণ করার ফলে শরীর এর রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের পরিমান বৃদ্ধি করে। এসকল কাজ ছাড়াও পান আরও অনেক কাজ করে থাকে। যেমন; পান গ্রহণ করার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করে, পান গ্রহণ করার ফলে হার্ট ভালো থাকে। শরীর এর লিভার ভালো রাখতে পান ভালো ভুমিকা পালন করে। পান গ্রহণ করার ফলে শরীরে টক্সিন এর পরিমান কমিয়ে যায়। 

রসুন | হজম শক্তি বৃদ্ধির দোয়া
রসুন গ্রহণ এর পর তা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। দেহের মধ্যে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে রসুন গ্রহণ করুন। রসুন গ্রহণ করার ফলে দেহের মধ্যে সকল ধরনের কাশি, ভাইরাস ইনফেকশন দূর করার সাথে সাথে আমাদের শরীর এর হজমশক্তিতে রসুন বেশ কার্যকর। রান্নার পাশাপাশি রসুন গ্রহণ করা শরীর এর জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।
দারুচিনি | হজম শক্তি দুর্বল
দারুচিনি গ্রহণ করলে তা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। দারুচিনির মধ্যে রয়েছে অনেক বেশি পরিমান ম্যাংগানিজ যা শরীর এর মধ্যে থাকা ফ্যাটি এসিড হজম করতে বেশ কার্যকর। দারুচিনি গ্রহণ করার ফলে আমাদের রক্তে সুগার এর মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে বা রাখে। রান্নার কাজে দারুচিনি ব্যবহার আমাদের দেহের জন্য দেহের পরিপাকযন্ত্র এবং হজমশক্তি বৃদ্ধির জন্য বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে দারুচিনি। আর হ্যা সতর্কতা আপনার যদি লিভার এর সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই দারুচিনি পান না করা উত্তম। কেননা দারুচিনি গ্রহণ করার ফলে আপনার পরবর্তীতে আরও বেশি পরিমান সমস্যা হতে পারে।

মিছরি | হজম শক্তি বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ

মিছরি দেখতে অনেকটা চিনির মতো। মিছরি খেলে পেট ঠান্ডা হয় মিছরি জলে মিছিয়ে খাওয়া যায়। মিছরি খাওয়ার পর পেট ঠান্ডা হলেও মিছরি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। মিছরি হজম শক্তিতে বেশ কার্যকর। মিছরি মুখ শুদ্ধি হিসেবে কাজ করে থাকে।

পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা | হজমের সিরাপ
কথায় আছে পানির উপর নাম হচ্ছে জীবন। আমাদের দেহের প্রায় ২ তৃতীয়াংশ পানি দিয়ে গঠিত। দেহের মধ্যে কার্যকলাপ সচল রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। আমাদের শরীর কে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য প্রতিদিন ১.৫ লিটার থেকে শুরু করে ২ লিটার পানি পান করা উচিত। পানি অল্প পান করার ফলে আমাদের শরীরে পানি সল্পতা দেখা দেয় যার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। আর এই পানি সল্পতার কারনে হজম শক্তিতে বাধাগ্রস্থ হয়। 
দেহের হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন স্বাভাবিক পানি পান করার পাশাপাশী বিভিন্ন ফলমুল এর জুস গ্রহণ করতে হবে। এই সকল খাবার দেহের পানি সল্পতার ঘাটতি পুরন করে।

আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন | পেটে হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায়
খাবারে তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার এর পরিমান বাড়িয়ে দিন। প্রতিদিন আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করার ফলে হজম শক্তি সমস্যা এমনিতেই দূর হয়ে যাবে। কারন শাঁক সবজি গ্রহণ করার পর তা দ্রুত হজম হয়ে যায় আর দেহের হজম শক্তি বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। আঁশ যুক্ত খাবার দেহের পানি শোষণ করতে সহায়তা করে যা আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে সমাধান দেয়।

এছাড়া হজমের সমস্যা সমাধান করার জন্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার বেশি পরিমান গ্রহণ করুন। দেহের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ক্যালসিয়াম অত্যন্ত গুরুপ্তপূর্ণ। এছাড়া হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য গ্রিন টি এর বিকল্প নেই। গ্রিন টি হজম শক্তি বাড়িয়ে দেই এবং আমাদের পরিপাকযন্ত্র সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়তা করে থাকে। 
শারীরিক ব্যায়াম করা | হজম শক্তি বৃদ্ধির করার ব্যায়াম | হজম শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

হজম শক্তি বা বদ হজম সমস্যা সমাধানের জন্য শরীর এর ব্যায়াম এর প্রয়োজন। কিন্তু সকল ব্যায়াম হজম শক্তির জন্য কার্যকর নয়। হজমশক্তির সাথে জড়িত অঙ্গ ডায়াফ্রামের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত এবং কোমড়ের দিকে থাকে। হজম শক্তির জন্য শরীর এর মাঝখানের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এর ব্যায়াম ভালো যত বেশি ভালো হবে হজম শক্তির ক্রিয়াকলাপ ও তেমন ভালো হবে। 

শরীর এর মাঝখানের অংশের কর্মকান্ড বাড়িয়ে নিবার জন্য কিছু ব্যায়াম করতে হবে। যেমন; চেয়ার দিয়ে ব্যায়াম। চেয়ারে ব্যায়াম করার জন্য রিভলভিং চেয়ার ব্যবহার করা ভালো কেননা রিভলভিং চেয়ার ব্যবহার করার ফলে শরীর এর মাঝের অংশ নাড়াচাড়া করতে সহজ হয়। এছাড়া শরীর এর এক অংশ নিচে আর এক অংশ উপরের দিকে রেখে ব্যায়াম করলে হজম শক্তি প্রক্রিয়া ভালো হয়। 

নিয়মিত ব্যায়াম করা শরীর এর হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য অনেক গুরুপ্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। খাওয়ার পরে উচিত কিছুক্ষণ হাটাচলা করা। খাওয়ার পর হাটাচলা করলে শরীর এর কার্যকলাপ ও জৈবিক প্রক্রিয়া সচল থাকবে। এর ফলে শরীরে গ্রহণ করা খাবার সহজে হজম হয়ে যাবে। অনেক দিন ব্যায়াম করার ফলে পেট এর নানান রকম রোগের লক্ষন হ্রাস পেয়ে যায়। ব্যায়াম শুধু হজম শক্তির কাজই করে না ব্যায়াম করার ফলে শরীর এর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এছাড়া আরও নানা রকম ব্যায়াম করা যায় যা হজম শক্তির জন্য অনেক কার্যকর। এছাড়া এক জায়গায় দাড়িয়ে হাল্কা ভাবে লাফানো হজম শক্তির জন্য কার্যকর। শুয়ে থেকে ব্যায়াম করা হজম শক্তির জন্য কার্যকর। শুয়ে থেকে যেভাবে ব্যায়াম করবেন যেভাবে, শুয়ে থেকে পা উপরের দিকে কিছুক্ষণ রাখতে হবে আর পা দুটি বাম থেকে ডান দিকে ঘোড়াতে হবে। এই ব্যায়ামটি হজম শক্তি বাড়িয়ে নেয়ার জন্য খুব গুরুপ্তপূর্ণ। আর এই কারনে শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন রয়েছে।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: