ফেসবুক, মেসেঞ্জার নিরাপদ যেভাবে রাখবেন

আমাদের দেশ সহ অনেক দেশ রয়েছে যে লোক ফেসবুক (FACEBOOK),মেসেঞ্জার (MESSENGER) এর মতো নানা রকম সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না। এ রকম লোক আজকাল খুজে পাওয়া অনেক মুশকিল। সামাজিক এই যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের বাংলাদেশ সহ দেশের বাহিরে বেশ জনপ্রিয়। তেমনি এসব যোগাযোগ মাধ্যম গুলো আমাদের এমন উপকার করে থাকেন ঠিক তেমনি ক্ষতি ও করে থাকেন।

আর এসব অ্যাকাউন্ট গুলা যদি কোন কারনে হ্যাক হয়ে যায় তাইলে আর আমাদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। তবে ভয় এর কোন কারন নেই। আমরা এখন আপনাকে কিছু টিপস দেব যেসব আপনি অনুসরন করলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া গুলা হ্যাকার দের হাত থেকে নিরাপদ এ রাখতে পারবেন। তবে আমাদের সবাইকে সামাজিক মাধ্যম গুলো বাবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বা সতর্ক থাকতে হবে যে সতর্ক থাকার কোন বিকল্প নেই। চলুন এত কথা না কাজের কথার দিকে যাপিয়ে পরা যাক;

আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে যেভাবে বুজবেন 

যখন কোন অপিরিচিত কেউ আপনার সামাজিক মাধ্যম বা অ্যাকাউন্ট টি হ্যাক করে আপনার কাছ থেকে আপনাকে কিছু চায় বা আপনাকে জিম্মি করে আপনার ক্ষতি করতে চায় সেই সময় আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। যখন আপনার নিজের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাবে তখন আপনার নিজের অরজিনাল পাসওয়াড দিয়ে অ্যাকাউন্ট এ লগ ইন করতে পারবেন না। যখন আপনার আইডিতে লগ ইন করতে পারবেন না সেই সময় আপনাকে মনে করতে হবে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট এর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেছেন।

আবার ধরে নেন আপনি আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এ ঘুকতে পারছেন না কিন্তু কেউ আপনার নামে আপত্তিকর পোস্ট বা মেইল করতেছে, বা বাজে কোন পোস্ট করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ধরে নিতে হবে যে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। তবে আপনাকে হাল ছেরে দিলে হবে না। আপনি নিচের টিপস গুলো গ্রহণ করবেন।

অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার পর যা যা করনীয়

নানা রকম অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে হ্যাকারা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য সব করে। যেমন অন্য যে কাউকে হুমকি প্রদান করে থাকে। যার ফলে পরবর্তীতে পুলিশ বা নানা রকম সংন্থা অ্যাকাউন্ট এর মালিক কে ধরে থাকেন। এর জন্য আপনার সর্ব প্রথম কাজ হল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কে জানান।

আবার বাংলাদেশ এর অনলাইন ভিত্তিক নানা রকম রকম সমস্যা ৯৯৯ এ কল করে আপনার সমস্যা সমাধান করে নিতে পারেন। তাদের কে সব পরিস্কার বা খুলে বলুন যে ওই হ্যাক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে যেসব পোস্ট বা মেইল করা হচ্ছে বা ছবি শেয়ার করা হচ্ছে সেসব আপনি করছেন না।

অ্যাকাউন্ট যেভাবে হ্যাক হয়ে যায়

যারা এসব হ্যাক করার কাজে নিয়োজিত তারা অনেক এক্সপার্ট হয়ে থাকে। অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার জন্য অনেক ক্ষেত্র ব্যবহার করা হয় যেমন; প্রোগ্রামিং ইঞ্জিনিয়ারিং। ধরুন আপনাকে অনেক এই অনেক মজার বা নানা রকম ছবি ,মেইল বা ঠিকানা লিঙ্ক আকারে আপনাকে এসএমএস করে থাকেন। কিন্ত আপনি জেনে না জেনে এসব লিঙ্ক এ ক্লিক করে থাকেন।

কিন্ত আপনি জানেন না যে এসব লিঙ্ক এ প্রবেশ করার পর আপনার ফোনের বা অনন্য ডিভাইস এ সফটওয়্যারে প্রবেশ করে। যা ফোন কে মনিটর এর মতো করে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। ঠিক স্কিনরেকর্ড এর মতো করে রাখে। যখন কেউ কোন কেউ অই সফটওয়্যারে দূর থকে চালায় তখন আপনার সকল ডাটা বা ইনফর্মেশন চুরে করে নেই। আর এই ভাবেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যায়। তাই আমাদের সবায় কে অজানা কোন লিঙ্ক বা কেীতিহল বিস্মিত ছবি বা লিঙ্ক এ ক্লিক বা প্রবেশ করা যাবে না।

অনেক সফটওয়্যার বা আপ্পস ব্যবহার না করা 

নানা রকম ডিভাইস এ নানা রকম সফটওয়্যার বা আপ্পস ইন্সটল করা বা ব্যবহার করা থেকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। কারন সব আপ্পস ডিভাইস এর জন্য ভাল না। অনেক আপ্পস আছে যেসব আপনি ইন্সটল করার পর তা ডিভাইস এবং আপনার জন্য ক্ষতির দিকে ফেলে দিতে পারে। তাই আপনাকে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান থেকে সফটওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। যেমন অ্যাপল ব্রান্ড এর জন্য আপল স্টোর,আর প্লেস্টোর ইত্যাদি। থার্ডপার্টি অ্যাপ গুলা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

বিশেষ করে অনেক অ্যাপ আসে যেমনঃ ওয়াইফাই হ্যাক অ্যাপ, ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাক ইত্যাদি অ্যাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারন এসব অ্যাপ কোন কাজ এর না বরং এগুল আপনার ডিভাইস এর কার্যক্ষমতা কমে দেই। এই অ্যাপ গুলা আপনার ফোন থেকে নানা রকম তথ্য চুরি করে নিয়ে থাকে। যার কারনে আপনি ভোগান্তির মাঝে থাকেন। তাই ডিভাইস এ অতিরিক্ত কিছু ব্যবহার না করা উত্তম।

লিঙ্ক এরিয়ে চলা

আমাদের সবার জানার খুব ইচ্ছা হয়। বলতে হয় আমরা সবায় যেন কেীতিহলপূর্ণ। আমাদের সবাই কে কেীতিহলপূর্ণ কমাতে হবে। কারন অনেক এই বসে আছেন যে আমাদের কে নানা রকম ভাবে ঠকাতে যায় কিভাবে। এই জন্য অনেক লিঙ্ক পাঠিয়ে থাকে আর আমরা না জেনে সেইটা ক্লিক করি। যার ফলে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। তাই কোন লিঙ্ক আসলে সেইটা প্রবেশ করার আগে সচেতন থাকতে হবে। ধরুন জিনি আপনাকে লিঙ্ক পাঠিয়েছেন সেই লোক এর সঙ্গে কথা বলে শিয়র হয়ে লিঙ্ক এ প্রবেশ করা।

অ্যাকাউন্ট এর টু ফ্যাক্টর চালু রাখা

অ্যাকাউন্ট কে শক্তিশালী ,মজবুত, করতে টু ফ্যাক্টর এর কোন বিকল্প নেই। কারন এই সময় হ্যাকাররা তাদের নানা রকম সফটওয়্যার দিয়ে অনেক পাসওয়ার্ড ভেঙ্গে ফেলেন। আর এই টু ফ্যাক্টর অপশন ওপেন করা থাকলে কেউ যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেস্টা করে তাইলে আপনার কাছে নোটিফিকেশান আসবে। এবং এসএমএস কোড চলে আসবে। এই কোড না দিলে আপনি লগ ইন করতে পারবেন না। এমন কি ইউজার অনন্য কোন ডিভাইস থেকে তার নিজের আইডি তে লগ ইন করতে কোড ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না। এই পদ্ধতি আপনি ফেসবুক এর সেটিংসস এর মাধ্যমে করতে পারবেন। পরে বিষয়ে বিস্তারিত বলব এবং ভিডিও করব।

সেটিংস পরিবর্তন করা

আমরা যারা নানা রকম ডিভাইস ব্যবহার করি সেই সব এর নানা রকম বিষয় আমরা নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করে থাকি। যেমন ধরুন, লগ ইন অ্যালাট চালু করুন ইতাদি। আর এই অপশন চালু করার কারনে কেউ কোন ছবি, পোস্ট আপনার অনুমতি না নিয়েই আপনার অ্যাকাউন্ট এ শেয়ার করতে পারবে না, বরং সেগুলো আপনার টাইমলাইন এ আসবে। এতে করে কাজ হবে যে অন্ন কারও কাজের দায়ভার আপনাকে নিতে হবে না। আপনি যখন এটা approved করবেন ঠিক তখন আপনার টাইমলাইন এ দেখাবে।

পোষ্ট ক্যাটাগরি: